বিবর্তন
-পৃথিবী বিবর্তিত।তুমি বিবর্তিত, আমি বিবর্তিত। এই সমাজ বিবর্তিত, মানুষের বির্বতনে বিবর্তিত হবে সমাজ ও দেশ।
-আমি যদি বিবর্তিত না হই?
-তোমাকে নিজের থেকে বিবর্তিত হতে হবে না। সময়ক্রমে সময়ের স্রোত তোমাকে বিবর্তিত করে দেবে।
-ঠিক বুঝে উঠতে পারিনা!
-তুমি আমার বিবর্তনবাদ বইটি তো পড়নি! কতবার বলেছি বল তো?
-অনেকবার। হিসেব করলে হয়ত পাঁচ -সাতবার।
-পড়লে ধারণা পাবে।
-তোমার মত বুদ্ধুর বই পড়ব আমি!
-পড়ে যদি কিছু শিখতে পার। তোমার মাথা দেখলে তো মনে হয় চুল ছাড়া আর কিছু নেই।
-কি বললে?
-না, কিছু না।
-আমি যদি বিবর্তিত না হই?
-তোমাকে নিজের থেকে বিবর্তিত হতে হবে না। সময়ক্রমে সময়ের স্রোত তোমাকে বিবর্তিত করে দেবে।
-ঠিক বুঝে উঠতে পারিনা!
-তুমি আমার বিবর্তনবাদ বইটি তো পড়নি! কতবার বলেছি বল তো?
-অনেকবার। হিসেব করলে হয়ত পাঁচ -সাতবার।
-পড়লে ধারণা পাবে।
-তোমার মত বুদ্ধুর বই পড়ব আমি!
-পড়ে যদি কিছু শিখতে পার। তোমার মাথা দেখলে তো মনে হয় চুল ছাড়া আর কিছু নেই।
-কি বললে?
-না, কিছু না।
রফিকের সাথে কথা বলছে অাসমা।রফিক ছেলেটা কিছুটা গম্ভীর, কখন বা অত্যন্ত হাশি-খুশি। অাসলে দেখে বোঝা য়ায় না রোমান্টিক না অানরোমান্টিক।
.
.
ছুটির দিনে সবাই কোনো না কোনো কাজে ব্যস্ত। ক্যাম্পাসে বেশ কিছু পরিচিত মুখের মধ্যে রফিক আর আসমা বসে অাছে। তাছাড়া ক্যাম্পাসে অজকে স্টুডেন্ট কম।
.
সম্পর্কের টানা-পোড়ায় এক বছর অতিবাহিত হয়ে গেল। কখনও ঝগড়া হয়নি। কারণ একটাই তারা দুজনেই লজিক্যাল।যুক্তিতে হেরে গেলে অত্নসম্পর্ণ করতে বাধ্য।
আজকে হঠাৎ অাছমা প্রশ্ন করে বসল--
-অাচ্ছা তুমি কতটা ভালোবাস আমাকে?
-কেন?
-সম্পর্কের মধ্যে ভালবাসার বিস্তৃতি জানার প্রয়োজন মনে কর না তুমি?
-হয়ত,করি।
-তাহলে বল।
-অাচ্ছা উত্তর দেওয়ার আগে একটা প্রশ্ন করি?
-কর।
-অমাদের সম্পর্কের এতদিনে আমদের মধ্যে কি দ্বন্দ ছিল?
-না।
-তাহলে বল, কেন দ্বন্দ হয়নি?
-অামরা অত্যন্ত যৌক্তিকভাবে আমাদের সমস্যাগুলো সমাধান করি বলে।
-তাহলে কি আমি বলতে পারি,"এটা একটা মেয়ের মানসিক রিভুলেশন? যা বেশিরভাগ মেয়েদের থেকে অালাদা।
-হয়ত!
-তাহলে তোমার প্রতি আমার ভালবাসার ঘাটতি কতটুকু?সম্পর্কের টানে অমরা কতটা কাছে?নিশ্চয়ই আমরা অন্যদের থেকে কাছে!
.
অাসমার নীরবতা, নীরবতা কাটিয়ে -
-অাচ্ছা তুমি তো বিবর্তনবাদে বিশ্বাসী না?
-হ্যাঁ।
-বিবর্তনে যদি আমাদের ভালবাসা শেষ হয়ে যায়!নাকি বিবর্তন হবে না?
-কেন হবে না! অবশ্যই হবে, তবে বিবর্তন মানে তো একেবারে শেষ বলা যৌক্তিক হবে।বিবর্তন মানে কি উত্থান আর পতন?না,তা নয়।
শেষ হবে না, হয়ত ধরনের কিছুটা পরিবর্তন হবে।
-সত্যিই!
- তোমাকে আবারো "বিবর্তনবাদ" বইটা পড়তে বলতে হবে!
-হা,হা,হা,হা।
-হা,হা,হা,হা।
শত প্রশ্নের বাঁধা পেরিয়ে আবার ও প্রাণ ভরা হাসি। সব ভালবাসা বাহ্যিক মোহতায় দাঁড়িয়ে নেই। হয়ত মনের মোহতায়ও দাঁড়িয়ে আছে। দাঁড়িয়ে আছে দুটো মানুষের দুটো মানুষের সৎ চিন্তার উপর। এটাই ভালবাসা। বাহ্যিক মোহতাটাকে প্রেম বলতে পারি, ভালবাসা না।
.
দুটোই মানুষের মতের মিলন,মনের মিলনই ভালবাসা।
.
ভালবাসাও বিবর্তিত হতে পারে, তবে মানুষের মানসিকতা ও সমাজের উপর নির্ভর করে ইতিবাচক বা নেতিকবাচক পরিবর্তন ঘটা স্বাভাবিক।
~অারিফ~
.
সম্পর্কের টানা-পোড়ায় এক বছর অতিবাহিত হয়ে গেল। কখনও ঝগড়া হয়নি। কারণ একটাই তারা দুজনেই লজিক্যাল।যুক্তিতে হেরে গেলে অত্নসম্পর্ণ করতে বাধ্য।
আজকে হঠাৎ অাছমা প্রশ্ন করে বসল--
-অাচ্ছা তুমি কতটা ভালোবাস আমাকে?
-কেন?
-সম্পর্কের মধ্যে ভালবাসার বিস্তৃতি জানার প্রয়োজন মনে কর না তুমি?
-হয়ত,করি।
-তাহলে বল।
-অাচ্ছা উত্তর দেওয়ার আগে একটা প্রশ্ন করি?
-কর।
-অমাদের সম্পর্কের এতদিনে আমদের মধ্যে কি দ্বন্দ ছিল?
-না।
-তাহলে বল, কেন দ্বন্দ হয়নি?
-অামরা অত্যন্ত যৌক্তিকভাবে আমাদের সমস্যাগুলো সমাধান করি বলে।
-তাহলে কি আমি বলতে পারি,"এটা একটা মেয়ের মানসিক রিভুলেশন? যা বেশিরভাগ মেয়েদের থেকে অালাদা।
-হয়ত!
-তাহলে তোমার প্রতি আমার ভালবাসার ঘাটতি কতটুকু?সম্পর্কের টানে অমরা কতটা কাছে?নিশ্চয়ই আমরা অন্যদের থেকে কাছে!
.
অাসমার নীরবতা, নীরবতা কাটিয়ে -
-অাচ্ছা তুমি তো বিবর্তনবাদে বিশ্বাসী না?
-হ্যাঁ।
-বিবর্তনে যদি আমাদের ভালবাসা শেষ হয়ে যায়!নাকি বিবর্তন হবে না?
-কেন হবে না! অবশ্যই হবে, তবে বিবর্তন মানে তো একেবারে শেষ বলা যৌক্তিক হবে।বিবর্তন মানে কি উত্থান আর পতন?না,তা নয়।
শেষ হবে না, হয়ত ধরনের কিছুটা পরিবর্তন হবে।
-সত্যিই!
- তোমাকে আবারো "বিবর্তনবাদ" বইটা পড়তে বলতে হবে!
-হা,হা,হা,হা।
-হা,হা,হা,হা।
শত প্রশ্নের বাঁধা পেরিয়ে আবার ও প্রাণ ভরা হাসি। সব ভালবাসা বাহ্যিক মোহতায় দাঁড়িয়ে নেই। হয়ত মনের মোহতায়ও দাঁড়িয়ে আছে। দাঁড়িয়ে আছে দুটো মানুষের দুটো মানুষের সৎ চিন্তার উপর। এটাই ভালবাসা। বাহ্যিক মোহতাটাকে প্রেম বলতে পারি, ভালবাসা না।
.
দুটোই মানুষের মতের মিলন,মনের মিলনই ভালবাসা।
.
ভালবাসাও বিবর্তিত হতে পারে, তবে মানুষের মানসিকতা ও সমাজের উপর নির্ভর করে ইতিবাচক বা নেতিকবাচক পরিবর্তন ঘটা স্বাভাবিক।
~অারিফ~
কোন মন্তব্য নেই